সময়ের স্রোত
সময়, এই অদৃশ্য শক্তি সবকিছুকে ছুঁয়ে যায়, সবকিছুকে বদলে দেয়। এক মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি, মানুষ, চিন্তা-ভাবনা, সবই নতুন রূপ ধারণ করে। যেমন শিশুকালের সরলতা যৌবনের উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়, আবার যৌবনের উত্তাপ বয়স্কদের শান্তিতে রূপান্তরিত করে। প্রকৃতিও এই নিয়মে বদ্ধ। ফুল ফোটে, মরে যায়, গাছ বড় হয়, পাতা ঝরে। সমাজ, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি সবকিছুই সময়ের সাথে নিরন্তর পরিবর্তনের চাকায় ঘুরতে থাকে। এই পরিবর্তন কখনো মৃদু, কখনোবা আকস্মিক। কিন্তু একটা বিষয় অটল, সেটা হলো পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী। আমরা সবাই এই পরিবর্তনের অংশ, এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শিখতে হবে। কারণ সময় থামে না, সে চলতে থাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে। ...
টাওয়ার অফ গড
এই কাহিনীটি একটি বিশাল টাওয়ারের রহস্য নিয়ে, যেখানে অসংখ্য মানুষ তাদের নিজ নিজ স্বপ্ন পূরণের জন্য অংশগ্রহণ করে। সকলের একটাই লক্ষ্য রহস্যময় টাওয়ারের ঈশ্বর হওয়া। টাওয়ারের শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য তাদের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং বিপদকে অতিক্রম করতে হয়। এই কাহিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো টোয়েন্টি ফিফথ বাম, তার জন্মস্থান এক অন্ধকার গুহাতে। জনপ্রিয় ম্যানহওয়া টাওয়ার অফ গড এর প্রধান চরিত্র টোয়েন্টি ফিফথ বাম রেচেল নামের একজন নারীকে ভীষণ ভালোবাসতো। তারাখচিত রাতে টাওয়ারের উপর থেকে আকাশের সৌন্দর্য দেখার স্বপ্ন দেখতো টোয়েন্টি ফিফথ বামের ভালোবাসার নারী রেচেল। ...
অপেক্ষা
সময় মাঝেমধ্যেই আমার ভীষণ আপন হয়ে ওঠে। আর আমি এই সুযোগে যতোটা সম্ভব বইয়ের ঘ্রাণ অনুভব করি। কবিতা, সাইকোলজি, বিজ্ঞান, সেলফ মোটিভেশন বিষয়ক বই পড়তেই বেশী পছন্দ করতাম। বইপোকারা আমার কাছে উপন্যাসের মুগ্ধতা নিয়ে আসতো। কতোশত মিথ্যা, কাল্পনিক গল্প পড়ে সময় নষ্ট করার পক্ষে আমি ছিলাম না। তবে সেই আমিই এখন উপন্যাসের প্রেমিক। চলুন অপেক্ষা বই রিভিউয়ের সাথে সাথে আমার উপন্যাসের প্রতি মুগ্ধতা কিভাবে আসলো তা ভাগাভাগি করা যাক। বই অপেক্ষা লেখক হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশকাল ১৯৯৭ পৃষ্ঠা সংখ্যা ২২০ আমার উপন্যাস যাত্রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমি ব্যবহার করি না, তবে কোনো একসময় করতাম। তখন তীব্র শীতের নির্ঘুম রাত, অবিশ্রান্ত ভাবে তাকিয়ে ছিলাম ল্যাপটপ স্ক্রিনে। হঠাৎ ফেসবুকে এক সাইকোলজি গ্রুপের কমেন্টে অপেক্ষা বইয়ের কভার দেখতে পেলাম। ...